মুখে চুলকানিযুক্ত ব্রণ: কারণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের বিস্তারিত আলোচনা

 



আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ত্বকের নানা সমস্যার মধ্যে ব্রণ অন্যতম একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রায় সকলকেই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে এই ব্রণ যখন চুলকানির উদ্রেক করে, তখন পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। মুখে ব্রণ হওয়া এবং তা চুলকানো কেবল শারীরিক কষ্টের কারণই নয়, মানসিক অস্বস্তিরও একটি বড় কারণ। এই চুলকানির ফলে ব্রণের সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বকে স্থায়ী দাগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই, মুখে চুলকানিযুক্ত ব্রণ কেন হয়, এর থেকে মুক্তির উপায় কী, এবং কীভাবে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন। এই পোস্টে আমরা চুলকানিযুক্ত ব্রণের আদ্যোপান্ত জানব, যাতে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সুস্থ ও সুন্দর ত্বক ফিরে পেতে পারেন।

ব্রণ কেন হয় এবং কেন চুলকায়?

ব্রণ হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো আমাদের ত্বকের নিচে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি (Sebaceous Gland)। এই গ্রন্থি থেকে সেবাম নামক এক প্রকার তেল নিঃসৃত হয় যা ত্বককে মসৃণ ও আর্দ্র রাখে। যখন এই সেবাম, ত্বকের মৃত কোষ এবং ময়লার সঙ্গে মিশে লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়, তখন সেখানে ব্যাকটেরিয়া, বিশেষত Propionibacterium acnes, বংশবৃদ্ধি শুরু করে। এর ফলেই লোমকূপ ফুলে ওঠে এবং ব্রণের সৃষ্টি হয়।

সাধারণ ব্রণ সাধারণত চুলকায় না। কিন্তু যখন ব্রণ চুলকাতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে এর পেছনে কিছু অতিরিক্ত কারণ রয়েছে। চুলকানির এই অনুভূতিকে প্রুরিটাস (Pruritus) বলা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ব্রণ চুলকানোর পেছনের কারণগুলো কী কী:

১. ত্বকের শুষ্কতা (Dryness): ব্রণ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই এমন কিছু পণ্য ব্যবহার করি যেগুলোতে বেনজোয়েল পারক্সাইড (Benzoyl Peroxide) বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড (Salicylic Acid) থাকে। এই উপাদানগুলো ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে ত্বকে টান পড়ে এবং চুলকানির সৃষ্টি হয়।

২. হিস্টামিন নিঃসরণ (Histamine Release): ব্রণ হলো এক ধরনের প্রদাহ (Inflammation)। যখন ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়, তখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেখানে হিস্টামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পাঠায়। এই হিস্টামিনই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী এবং এটি ত্বকে চুলকানি ও লালচে ভাব তৈরি করে।

৩. অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া (Allergic Reaction): অনেক সময় আমরা নতুন কোনো স্কিনকেয়ার পণ্য, মেকআপ, বা এমনকি চুলের কোনো পণ্য ব্যবহার করি যা আমাদের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। এসব পণ্যে থাকা কোনো বিশেষ উপাদান (যেমন - পারফিউম, প্রিজারভেটিভ) ত্বকে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে বিদ্যমান ব্রণের উপর চুলকানি শুরু হয়।

৪. ফলিকুলাইটিস (Folliculitis): এটি ব্রণের মতো দেখতে হলেও আসলে এক ধরনের সংক্রমণ যেখানে চুলের ফলিকল বা লোমকূপ ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। ফলিকুলাইটিস দেখতে ছোট ছোট লাল ফুসকুড়ির মতো হয় এবং এতে প্রচণ্ড চুলকানি হতে পারে। অনেকেই একে সাধারণ ব্রণ ভেবে ভুল করেন।

৫. সানবার্ন বা রোদে পোড়া ত্বক: দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার ফলে ত্বক পুড়ে গেলে তা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং চুলকাতে পারে। যদি আপনার মুখে আগে থেকেই ব্রণ থাকে, তাহলে রোদে পোড়ার কারণে সেই স্থানগুলোতে চুলকানির অনুভূতি তীব্র হতে পারে।

৬. মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা স্ট্রেস সরাসরি ব্রণের উপর প্রভাব ফেলে। স্ট্রেস কর্টিসল নামক হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়, যা ত্বকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং প্রদাহ বাড়ায়। ফলে ব্রণ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং চুলকানিও বাড়তে পারে।

৭. ঘাম ও ময়লা: অতিরিক্ত ঘাম এবং ধুলোবালি ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এর ফলে ব্রণের প্রদাহ ও চুলকানি উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

চুলকানিযুক্ত ব্রণের ঘরোয়া প্রতিকার

চুলকানিযুক্ত ব্রণ হলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো চুলকানো থেকে বিরত থাকা। চুলকালে নখের আঁচড়ে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা থেকে স্থায়ী দাগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চুলকানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং ব্রণ সারিয়ে তোলার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১. বরফের ব্যবহার: একটি পরিষ্কার, নরম কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে চুলকানির জায়গায় আলতো করে চেপে ধরুন। দিনে ২-৩ বার, প্রতিবার ৫-১০ মিনিটের জন্য এটি করতে পারেন। বরফের ঠাণ্ডা স্পর্শ প্রদাহ কমাতে, রক্তনালীকে সংকুচিত করতে এবং চুলকানির অনুভূতিকে সাময়িকভাবে অবশ করতে সাহায্য করে।

২. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরার প্রদাহরোধী এবং শীতলকারী গুণাবলী চুলকানি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। খাঁটি অ্যালোভেরা জেল (গাছ থেকে সংগৃহীত হলে সবচেয়ে ভালো) সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং শুষ্কতার কারণে হওয়া চুলকানি কমায়।

৩. নিম পাতার পেস্ট: নিম পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। কয়েকটি নিম পাতা বেটে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং তা ব্রণের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। নিম চুলকানি কমানোর পাশাপাশি ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও সাহায্য করে।

৪. হলুদ এবং মধুর মিশ্রণ: হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং এর মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ১ চামচ মধুর সাথে আধা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে। এই মিশ্রণটি চুলকানিযুক্ত ব্রণের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫. টি ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil): টি ট্রি অয়েল একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তবে এটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়। এক বা দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল এক চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড তেলের সাথে মিশিয়ে তুলার সাহায্যে শুধু ব্রণের উপর লাগান। এটি চুলকানি ও সংক্রমণ উভয়ই কমাবে। ব্যবহারের আগে অবশ্যই ত্বকের অন্য কোনো অংশে লাগিয়ে (প্যাচ টেস্ট) দেখে নিন যে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা।

৬. ওটমিল মাস্ক: ওটমিল ত্বকের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমাতে খুব কার্যকর। ২-৩ চামচ ওটমিল গুঁড়ো করে পরিমাণমতো পানির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে শান্ত করবে এবং চুলকানি কমাবে।

৭. গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। একটি ব্যবহৃত গ্রিন টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন এবং চুলকানির জায়গায় আলতো করে চেপে ধরুন। এটি তাৎক্ষণিকভাবে আরাম দেবে।

চুলকানিযুক্ত ব্রণের ক্ষেত্রে কী করবেন এবং কী করবেন না

করণীয়:

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: দিনে দুইবার একটি মৃদু, সুগন্ধিমুক্ত এবং সালফেট-মুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া বা জোরে ঘষামাজা করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি ত্বককে আরও শুষ্ক ও বিরক্ত করতে পারে।
  • সঠিক ময়েশ্চারাইজার: অয়েল-ফ্রি, নন-কমেডোজেনিক (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে আর্দ্র রেখে শুষ্কতার কারণে হওয়া চুলকানি প্রতিরোধ করবে।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার: বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই ব্রড-স্পেকট্রাম এসপিএফ ৩০ বা তার বেশিযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত হতে সাহায্য করে।
  • বালিশের কভার পরিবর্তন: সপ্তাহে অন্তত দুইবার বালিশের কভার পরিবর্তন করুন। নোংরা বালিশের কভারে থাকা তেল এবং ব্যাকটেরিয়া ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বর্জনীয়:

  • চুলকানো বা খোঁচানো: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ চুলকালে বা খুঁটলে সংক্রমণ বেড়ে যায় এবং স্থায়ী দাগ তৈরি হয়।
  • কড়া রাসায়নিকযুক্ত পণ্য: অ্যালকোহল, সুগন্ধি এবং অন্যান্য কড়া রাসায়নিকযুক্ত স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ঘন মেকআপ: ব্রণ থাকা অবস্থায় ভারী মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। যদি করতেই হয়, তাহলে নন-কমেডোজেনিক পণ্য ব্যবহার করুন এবং রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ভালোভাবে তুলে ফেলুন।
  • অতিরিক্ত স্ক্রাবিং: জোরে জোরে স্ক্রাব করলে ব্রণের প্রদাহ আরও বেড়ে যায় এবং ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • মানসিক চাপ: যতটা সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা পছন্দের কোনো কাজ করে মনকে শান্ত রাখুন।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলার পরও যদি আপনার চুলকানিযুক্ত ব্রণের সমস্যা না কমে বা দিন দিন বাড়তে থাকে, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের (Dermatologist) পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন:

  • যদি ব্রণের সাথে তীব্র ব্যথা বা চুলকানি থাকে।
  • ব্রণগুলো যদি আকারে অনেক বড় হয় এবং পুঁজ জমে সিস্ট বা নডিউলের মতো হয়ে যায় (সিস্টিক অ্যাকনি)।
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোনো উন্নতি না হলে।
  • ব্রণের কারণে যদি আপনার মুখে স্থায়ী দাগ বা গর্ত হয়ে যেতে থাকে।
  • যদি আপনি মানসিকভাবে খুব বেশি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

চিকিৎসক আপনার ত্বকের ধরন এবং সমস্যার তীব্রতা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির পরামর্শ দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে টপিকাল ক্রিম বা জেল (যেমন - রেটিনয়েডস, অ্যান্টিবায়োটিকস), মুখে খাওয়ার ওষুধ (যেমন - অ্যান্টিবায়োটিকস, আইসোট্রেটিনোইন), বা ক্ষেত্রবিশেষে কেমিক্যাল পিলিং বা লেজার থেরাপির মতো চিকিৎসাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।


মুখে চুলকানিযুক্ত ব্রণ একটি জটিল এবং কষ্টদায়ক সমস্যা হলেও সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসার মাধ্যমে এটি পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। মূল বিষয় হলো ধৈর্য ধারণ করা এবং ত্বকের প্রতি যত্নশীল হওয়া। ব্রণ রাতারাতি সেরে যায় না, এর জন্য সময় প্রয়োজন। উপরে আলোচিত কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা, ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। মনে রাখবেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক প্রশান্তি কেবল আপনার ব্রণই নয়, সার্বিকভাবে আপনার ত্বক ও স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। যদি সমস্যা গুরুতর হয়, তবে দ্বিধা না করে একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী চলুন। আপনার সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বক আপনার আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলবে বহুগুণে।

ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য পেশ করার জন্য

নবীনতর পূর্বতন

Random

Ads

نموذج الاتصال